রাসুল সাঃ সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে কিভাবে তাঁকে পরিপূর্ণরূপে ভালোবাসা যেতে পারে?

জীবনের কতগুলো বছর পেরিয়ে গেছে। এখনও আপনার দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ঠ মানব রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী (সীরাত) পড়ার সুযোগ হয়নি বা দুনিয়াবী ব্যস্ততায় পড়া হয়ে উঠেনি। অথচ আপনি দাবী করেন আপনি দুনিয়া এবং দুনিয়ার সবকিছুর চাইতে আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুল সাঃ -কে সবচাইতে বেশি ভালোবাসেন। কেমন যেন দ্বিচারিতা হয়ে গেল না ???

সীরাত জানা প্রতিটা মুসলিমের জন্য অনেক অনেক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রাসুল সাঃ বলেছেন, “তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার কাছে তার পিতা, সন্তান এবং সব মানুষের চেয়ে বেশি প্রিয় হই।”

আর রাসুল সাঃ সম্পর্কে ভালোভাবে না জেনে কিভাবে তাঁকে পরিপূর্ণরূপে ভালোবাসা যেতে পারে?

সীরাত প্রজেক্টে অংশ নিয়ে আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলুন !!!

রাসূলুল্লাহ মুহাম্মাদ (সাঃ) হচ্ছেন এমন একজন, চৌদ্দশ বছর পরেও যাকে নিয়ে মুগ্ধতা এতটুকু কমেনি। যারা তাঁকে জেনেছে, তারা তাঁকে ভালোবেসেছে; যত বেশি জেনেছে, তত বেশি ভালোবেসেছে। যারা তাঁকে জানেনি, তাঁরা ভালোবাসার নদী দেখলেও মহাসমুদ্র দেখেনি। না-দেখেও যাকে পৃথিবীর মানুষ সবচাইতে বেশি ভালোবেসেছে, তিনি হলেন রাসূলুল্লাহ (সাঃ)।

গল্পের নায়কদের কথা মানুষ খানিক বাদেই ভুলে যায়, ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের প্রভাব টিকে থাকে বড়জোর কয়েকটা বছর, কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এমন একজন যাকে এত বছর পরেও লোকেরা ভালোবাসে, তাঁর অনুসরণ করে, তাঁর সম্মানে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়। জীবদ্দশায় আবু জাহেলরা তাঁকে ভয় করতো, মৃত্যুর পরে আবু জাহেলের উত্তরসূরিরা তাঁর অনুসারীদের ভয় করে।

কিন্তু দুর্ভাগ্য, যে জাতির কাছে ‘মুহাম্মাদ’ (সাঃ) আছে, সে জাতিকে আজ টং দোকানের মামা থেকে শুরু করে বারাক ওবামা প্রত্যেকেই দিকনির্দেশনা দিতে ব্যতিব্যস্ত। মুসলিমদেরকে আজকে অমুসলিমরা ইসলাম শেখায়, উন্নয়ন আর সমৃদ্ধির সবক দেয়। বিষয়টা লজ্জা আর গ্লানির।

আমরা রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) চিনলেও তাঁকে আমরা জানিনা। জানিনা বলেই তিনি কারো কাছে নিছক একজন ‘ভালো মানুষ’, আর দশজন মনীষির মতো, যারা কিনা কিছু দার্শনিক তত্ত্ব আর নীতিকথা বলেই খালাস! কিংবা কারো কাছে তিনি বড়জোর একজন ‘ধর্মপ্রচারক’, কিছু ভালো ভালো কাজ করেছেন, এই যা!

কিন্তু তাঁর আসল পরিচয় হচ্ছে তিনি একজন রাসূল। তিনি একটা গ্লোবাল মিশন নিয়ে এসেছিলেন এবং আমরা সেই মিশনের অংশ। আল্লাহ এই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটিকে পাঠিয়েছেন আমাদের জীবনের প্রতিটি বিষয়ে পথ দেখানোর জন্য। তিনি মানুষকে সেই পথ দেখিয়ে গেছেন যে পথ খুঁজে পেতে আমাদের বুদ্ধিজীবী-দার্শনিক-বিজ্ঞানী- আমলারা মাথা কুটে মরে, কিন্তু সমাধান খুঁজে পায় না।

এই সমস্যার একটিই সমাধান। তা হলো রাসূলুল্লাহকে (সাঃ) জানা। আর জানার জন্যই তাঁর সীরাত পড়া। রাসূলুল্লাহর (সাঃ) সীরাত হচ্ছে তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর ব্যক্তি জীবন, তাঁর নবুওয়াত, তাঁর নেতৃত্ব এবং তাঁর চারপাশের মানুষগুলো নিয়ে একটি চমৎকার কাহিনীপ্রবাহ। রাসুলুল্লাহর (সাঃ) সীরাত পড়লে ইনশা আল্লাহ, ইসলাম সম্পর্কে আমাদের সংকীর্ণ ধারণার দেয়ালগুলো ভেঙে পড়বে। 

রাসূলুল্লাহর (সাঃ) জীবন সম্পর্কে জানলে, ইসলামবিদ্বেষীদের প্রোপাগান্ডা শুনে আমাদের মনে যে ‘খচখচ’ হয় সেটা দূর হয়ে যাবে, বিইযনিল্লাহ। আমরা জানব রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কত চমৎকার একজন মানুষ ছিলেন। তিনি কারো মন জয় করতেন, কাউকে রুখে দিতেন, আর কাউকে মোকাবিলা করতেন। নিজের ঘর থেকে শুরু করে যুদ্ধের ময়দান – প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একজন বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। 

যারা তাঁকে ভালোবেসেছে, তাদের জীবন আমূল বদলে গেছে, যে জাতি তাঁর অনুসরণ করেছে, তাদের ভাগ্য বদলে গেছে। এমন একজন মানুষ সম্বন্ধে যদি আমরা না জানি, না মানি, তাহলে তো আমরাই ‘মিস’ করলাম!

আদর্শিক দৈন্যতার কারণে ইতিহাস বলতে হয়তো আমরা ৫২ বা ৭১ এর আগে কিছু চিন্তা করতে পারি না। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাঃ ও তাঁর সাহাবাদের ইতিহাসের সামনে সকল ইতিহাসই ম্লান। পৃথিবীর যত বিপ্লব, তার সবক’টা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কিছু পরিবর্তন করে কয়েক দশক বা সর্বোচ্চ কয়েক শতক পরেই হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। কিন্তু যে বিপ্লবের সূচনা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) করেছেন, সেটা চলবে ততদিন পর্যন্ত, যতদিন না মুসলিম জাতি সমগ্র পৃথিবীর উপর বিজয়ী হবে।

বিঃ দ্রঃ এই প্রজেক্টের ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে অতিব্যস্ত ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহিণী-চাকুরীজীবী-ব্যবসায়ী-ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-আইনজীবী সকলেই অংশগ্রহণ করতে পারে। অনেকটা ম্যারাথন স্টাইলে। যতো ব্যস্ততাই থাকুক না কেনো রুটিনের মধ্যে থাকলে দিনে মাত্র ৫ পেজ পড়াই যায়। আর রুটিনের মধ্যে না থাকলে দিনে ৫ পেজ তো দূরের কথা, মাসে বা বছরেও ৫ পেজ পড়া হয় না। এটাই বাস্তবতা। রেগুলারিটি মেইনটেইন করে ধীরে ধীরে পড়ার ফলে পড়াটাও ভালো হবে।

শত ব্যস্ততার মধ্যেও কেনো রুটিনের মধ্যে থাকলে দিনে মাত্র ৫ পেইজ পড়াই যায়। আর রুটিনের মধ্যে না থাকলে দিনে ৫ পেইজ তো দূরের কথা, মাসে বা বছরেও ৫ পেইজ পড়া হয় না। এটাই বাস্তবতা।

১০০ দিনে সীরাত পাঠ প্রজেক্ট

সীরাত প্রজেক্ট সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

“১০০ দিনে সিরাত পাঠ প্রজেক্ট” একটি সেল্ফ স্টাডি প্রজেক্ট।

এই প্রজেক্টের অধীনে ১০০ দিনে সম্পূর্ণ সিরাত পাঠ করার একটি চ্যালেঞ্জ দেওয়া হবে এবং একইসাথে পড়ার গতিবিধি/অগ্রগতি ট্র্যাক করা হবে।

এই প্রজেক্টে তাওহীদ প্রকাশনীর আর-রাহীকুল মাখতূম (মোহরাঙ্কিত জান্নাতি সুধা) বইটি ব্যবহার করা হবে। বইটি মোট ৫৫৬ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে মূল পড়া শুরু ৩৪ পৃষ্ঠা থেকে। সেই হিসেবে মোট পড়তে হবে ৫২৩ পৃষ্ঠা। অর্থাৎ, ১০০ দিনে ৫২৩ পৃষ্ঠা পড়তে হবে। দিনে গড়ে ৫ পৃষ্ঠার অল্পকিছু বেশি।

এখন আমাদের কাজ কি? এই প্রজেক্টের অধীনে আমাদের কাজ হচ্ছে আপনার পড়ার গতিবিধি/অগ্রগতি ট্র্যাক করা। কিভাবে ট্র্যাক করবো? আমরা আপনাকে ১০০ দিনের একটি রোডম্যাপ দিয়ে দিবো। আপনি সেই রোডম্যাপ অনুযায়ী প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন পড়বেন। এরপর প্রতিদিনের সিলেবাসের উপর আমরা প্রতিদিন পরীক্ষা নিবো। মানে ১০০ দিনে ১০০ টা পরীক্ষা নিবো। যাতে করে আপনার দিনের পড়া দিনে কমপ্লিট হয়।

প্রতিদিনের পরীক্ষার রেজাল্ট পরীক্ষা দেওয়ার সাথে সাথেই দেওয়া হবে। এতে করে আপনি নিয়মিত আপনার পড়ার গতিবিধি+অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারবেন।

প্রতিদিন পরীক্ষা নেওয়ার ফলে প্রতিদিন পড়ার একটা চাপ থাকবে। যেহেতু প্রশ্ন ২৪ ঘণ্টা অ্যাভেইলেবল থাকবে তাই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পড়ে পরীক্ষা না দিলে আপনি সেদিনের পরীক্ষা মিস করবেন। ফলে মোট নাম্বারে অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে পড়বেন।

পড়ার জন্য প্রতিদিনের পিডিএফ প্রতিদিন দিয়ে দেওয়া হবে। বইয়ের হার্ডকপি কিনার প্রয়োজন নাই। তবে আপনি চাইলে নিজের পড়ার সুবিধার জন্য হার্ডকপিও কিনতে পারেন।

প্রতিদিন গড়ে ৫ পেইজ করে পড়া দেওয়া হবে। এরপর সেই পড়ার উপর ১৫-২০ মার্কের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে গুগল ফর্মের মাধ্যমে। সপ্তাহে ৬ দিন পরীক্ষা হবে। শুক্রবার অফ ডে।

প্রতিদিন রাত ১০টায় প্রশ্ন দেওয়া হবে। পরেরদিন রাত ০৯টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে আপনার সুবিধামত সময়ে পরীক্ষা দিতে পারবেন। অর্থাৎ, প্রশ্ন ২৪ ঘণ্টা এভেইলেবল থাকবে।

শুক্রবার অফ ডে। ব্যস্ততার কারণে মিস যাওয়া পরীক্ষা অফ ডে-তে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।

আমার কাছে অন্য প্রকাশনীর বই আছে, আমি কি করবো?
- আমরা প্রতিদিন ৫ পেইজ করে পিডিএফ দিয়ে দিবো। আপনি সেই পিডিএফ দেখে পড়তে পারেন অথবা পিডিএফ দেখে আপনার কাছে থাকা বইয়ের সাথে টপিক মিলিয়ে পড়তে পারেন।

রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নিচের প্রসেস ফলো করে রেজিষ্ট্রেশন কমপ্লিট করুন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে আপডেইট পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

প্রাইভেট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ এবং টেলিগ্রাম চ্যানেলে পড়ার কনটেন্ট ও পরীক্ষার লিংক দেওয়া হবে। হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রাম যে কোনো একটা থাকলেই হবে।

যে কোনো প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

আমাদের সিগনেচার প্রজেক্ট "১০০ দিনে সীরাত পাঠ প্রজেক্ট" সহ বিভিন্ন প্রজেক্টে গত ২ বছরে এখন পর্যন্ত ৮৭০০+ স্টুডেন্ট অংশগ্রহণ করেছে। আমাদের প্রজেক্ট যে আসলেও কার্যকরী তা আমাদের স্টুডেন্টদের রিভিউ দেখলেই বুঝবেন।
বিঃদ্রঃ আমরা কখনও স্টুডেন্টদের থেকে রিভিউ চেয়ে নেই না।

আমাদের অফিশিয়াল টেলিগ্রাম চ্যানেলে জয়েন করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

রেজিষ্ট্রেশন সম্পর্কিত কিছু তথ্য

রেজিষ্ট্রেশন ফি

মাত্র ২০০ টাকা

রেজিষ্ট্রেশনের লাস্ট ডেইট

১৬ জুন, ২০২৫

প্রজেক্টের কার্যক্রম শুরু

১৭ জুন, ২০২৫

প্রজেক্টে অংশ নিতে ২০০ টাকা বিকাশ, নগদ বা রকেটে সেন্ড মানি করে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন

প্রজেক্টে অংশ নিতে ২০০ টাকা বিকাশ, নগদ বা রকেটে সেন্ড মানি করে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন।
বিকাশঃ 0174 8800 943 (সেন্ড মানি)
নগদঃ 0174 8800 943 (সেন্ড মানি)
রকেটঃ 0174 8800 943 1 (সেন্ড মানি)
এরপর ''রেজিষ্ট্রেশন কনফার্ম করুন'' বাটনে ক্লিক করুন।

Billing details

Your order

Product Subtotal
১০০ দিনে সীরাত পাঠ প্রজেক্ট  × 1 200৳ 
Subtotal 200৳ 
Total 200৳ 

যে কোনো প্রয়োজনে হোয়াটসঅ্যাপ করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন

©2025 Sirater Pathshala. All Rights Reserved. Designed By Optins.xyz